প্রত্যয় ডেস্ক, বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বুড়ির বাঁধে মাছ ধরার উৎসব শুরু হয়েছে ।
শনিবার সকালে বাঁধের গেট খুলে দেয়া হলে মাছ ধরার উৎসবে যোগ দেন আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।
স্থানীয়রা দেশীয় জাল, লাফিজাল, ফিকাজাল, খেয়াজাল, টানাজাল বা ছেঁকাজাল নিয়ে সকাল থেকে মাছ ধরতে নামে। হাজার হাজার মানুষ মাছ শিকারে নামলেও এবার মাছের পরিমাণ কম বলে জানান মাছ শিকারীরা। এদিকে অনেকে কম দামে মাছ কেনার জন্য ভীড় জমায় বাঁধের পাড়ে। এ সময় হাজারো মানুষের মিলন মেলায় পরিনত হয়।
এ সময় মাছ শিকারী ও মাছ কিনতে আসা সাধারণ মানুষের মাঝে হতাশা লক্ষ্য করা যায়। মাছ শিকারী অনেকে জানান, এবার ঘনঘন বৃষ্টি হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা সিপ ও কারেন্ট জাল ব্যবহার করে আগেই বড়বড় মাছ তুলে নিয়েছে। তাই এ বছর মাছের প্রাপ্যতা কম বলে জানান তারা।
অপরদিকে কিছু সংখ্যক মাছ ব্যবসায়ী শহরের আড়ত ও বিভিন্ন পুকুরের মাছ এনে এখানে বিক্রি করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারনা করছে।তাছাড়াও বাজারে যে মাছের দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা তা এখানে ৪০০ টাকা দাম হাকছে। তাই ক্রেতারা বিফল মনোরথে ফিরে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৮০ সালে শুষ্ক মৌসুমে এ অঞ্চলের কৃষি জমির সেচ সুবিধার জন্য সদর উপজেলার অকচা ও চিলারং ইউনিয়নের মাঝামাঝি এলাকায় শুক নদীর উপর একটি জলকপাট (সুইসগেইট) নির্মাণ করা হয়। জলকপাটে আটকে থাকা পানিতে প্রতিবছর মৎস্য অধিদফতরের উদ্যোগে বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। আর শীতের শুরুতেই বাঁধের পানি ছেড়ে দেওয়ার পর মাছ ধরার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এভাবেই প্রতিবছর চলে বুড়ির বাঁধে মাছ ধরার উৎসব।